Hathazari Sangbad
হাটহাজারীবৃহস্পতিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি

হাটহাজারী সংবাদ ডেস্ক:
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ ৭:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রিযিকের সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে: টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ। রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছে: শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা। রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছে: পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছে: মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।  রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়,যদি আমরা তা বুঝতে পারি।

আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত, এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নিদিষ্ট।  আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে,আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটাও লিখিত। একটি দানাও কম না এবং একটিও বেশি না। ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো।  এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ তা’আল্লা নিয়েছেন।  কিন্তু,আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার।

যদি ধৈর্য ধারণ করি,আল্লাহ তা’আলার কাছে চাই,  তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো।  আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই… নাথিং মোর, নাথিং লেস! আমি যেই ফলটি আজকে ডুবাই তে বসে খাচ্ছি,  সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে,তখনই নির্ধারিত হয়েছে যে, সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয়নি বা কিনেনি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিযিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে। এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম,কিন্তু না! রিযিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না।

রিযিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী! কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না।  এটা তারই রিযিক,শুধুমাত্র আল্লাহ তা’আলা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।  তিনি পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ! কেউ কারওটা খাচ্ছে না,যে যার রিযিকের ভাগই খাচ্ছেন।  আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি, সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্ তা’আলার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি।

কেননা,আল্লাহ তা’আলা বলেন: দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই,যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছু একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে। (সুরা হুদ:আয়াত ৬) আল্লাহ তা’আলা অন্যএ বলেন: যে আল্লাহকে ভয় করে,আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন।  আর তাকে (এমন উৎস থেকে)রিযিক দেবেন,যা সে ধারণাও করতে পারবে না।  (সুরা ত্বালাক:আয়াত ২-৩)

মহান আল্লাহ্ তা’আলা আমাদের সঠিক পথ এবং হালাল ও প্রশস্থ কামাই,রোজগার ও রিযিক এর ব্যবস্থা করে দিন,এবং সকল প্রকার হারাম কামাই, রোজগার ও রিযিক থেকে হিফাযত করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন এবং হিফাযত করুন (আমীন)।

লেখক: মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী