Hathazari Sangbad
হাটহাজারীবৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

ভিক্ষাবৃত্তির জন্য ৮ মাসের শিশুকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ২

অনলাইন ডেস্ক :গাজিপুর
মে ২, ২০২৪ ৭:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশে প্রায় এক মাস আগে গাজীপুর মহানগরের নাওজোর এলাকা থেকে অপহৃত ৮ মাসের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার লুৎফর রহমানের ছেলে মো. আবু সাইদ ওরফে সুমন (৪০) এবং তার স্ত্রী কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার অনন্তপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে মোসা. আইরিন (৩৪)।

উদ্ধার হওয়া শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমান গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ফরিদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় পোশাক শ্রমিক মোক্তার হোসের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় গাজীপুর সদর জোনের সহকারী কমিশনার ফাহিম আসজাদ, বাসন থানার এসআই নাজমুল হক ও শিশুটির বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন।পুলিশ কর্মকর্তা আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আইরিন-সাইদ দম্পতি এবং শিশুটির বাবা-মা গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ফরিদ মিয়ার বাড়ির পাশাপাশি রুমে ভাড়া থাকতেন। গত ৩ এপ্রিল সকালে শিশুটির বাবা বাসা থেকে কর্মস্থলে চলে যান। দুপুরে মা তাকে গোসল করিয়ে ঘরের খাটে শুইয়ে রেখে বাথরুমে নিজে গোসলে যান। গোসল সেরে ঘরে ঢুকে তিনি ছেলে নোমানকে না পেয়ে আশপাশে খুঁজতে থাকেন। এ মসয় পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া আইরিনকে পাওয়া যাচ্ছিল না এবং তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। শিশুটির মা বিষয়টি থানায় জানান এবং পরদিন দুজনকে আসামি করে বাসন থানায় মামলা করেন।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে ৫ এপ্রিল মো. আবু সাইদ ওরফে সুমনকে কুড়িগ্রাম থেকে এবং ২ মে ভোরে তার স্ত্রী আইরিনকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন চায়না মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ও তার হেফাজত থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর নোমানকে তার বাবা-মায়ের কোলে তুলে দেয় পুলিশ। হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে বাবা-মা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নোমানের বাবা-মা গ্রেপ্তারদের উপযুক্ত শান্তি দাবি করেছেন। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার আইরিন পুলিশকে জানান, নোমানকে ময়মনসিংহে ভিক্ষাবৃত্তির কাজে ব্যবহার করছিলেন তিনি। ছোট শিশুকে ব্যবহার করে ভিক্ষা করলে মানুষের বেশি সহানুভূতি ও অর্থ পাওয়া যায়। তাই এই শিশুকে তারা ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করছিলেন।