প্রত্যেক মা ও বাবা জীবনের সব কিছুর বিনিময়ে তাদের ছেলেমেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করতে চায়। ছেলেসন্তানরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা দেখতে চায়। সবাই আশা করে ছেলে মেয়েরা বড় হলে হয়তো তাদের দেখাশুনা করবে। তা অনেকের ভাগ্যে থাকে আবার অনেকের থাকেনা। তবে ছেলে মেয়ের দেখাশোনা ভাগ্যে থাকুক বা না থাকুক তারা চেষ্টা করে ছেলে মেয়েদেরকে পড়ালেখা করানোর জন্য। তাই পড়ালেখার বিষয়টা অনেকটা মা বাবার উপর নির্ভরশীল।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা পশ্চিম পট্টি স্কুল এন্ড কলেজের ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (এমপি) এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, জীবনের ১৩টি বছর যদি শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে পড়ালেখা করতে পারে তাহলে ভবিষ্যতে আর চিন্তার দরকার হবেনা। এজন্য ছেলে মেয়েদের এ কয়েকটি বছর অভিভাবক, পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকদের সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে। কারণ এ সময়টিতে যদি সে ভাল করতে না পারে ভবিষ্যতে আর পারবেনা।
জোবরা পশ্চিম পট্টি স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ হাসানের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এবং বাংলা প্রভাষক শাহীন আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাহিদুল আলম। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ ইউনুস গণি চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মোহাম্মদ শামীম, হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন সবুজ ও অমৃত বড়ুয়া।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক এজিএম মোহাম্মদ আবুল বশর, আকবর হায়দার চৌধুরী, হাবিবুর রহমান রাজু ও মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় গভর্নিং বডির সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মান উন্নয়ন হলেও বিদ্যালয়ের একটি ভবন আজ খুবই জরাজীর্ণ, এই ভবন নতুনভাবে নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরী। ভূমি সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের একটি মাঠ নেই, আজ শিক্ষার্থীরা মাঠের অভাবে খেলাধুলা করতে পারছেনা, তাই মাঠ তৈরি করতে ভূমি ক্রয় করাটাও জরুরী। তাছাড়া বিদ্যালয়ে একটি শেখ রাসেল ল্যাব স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মোহাম্মদ আরিফ, ত্রিপিটক পাঠ করেন আদিত্য বড়ুয়া ও গীতা পাঠ করে শ্রাবণী দাস। পরে তারা সম্মিলিত ভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।