Hathazari Sangbad
হাটহাজারীমঙ্গলবার , ২৯ আগস্ট ২০২৩

একদিনের বৃষ্টিতে নাঙ্গলমোড়া স্কুলের মাঠে হাঁটু পানি, ডুবে আছে শ্রেণীকক্ষও

মুহাম্মদ আবু নোমান :
আগস্ট ২৯, ২০২৩ ২:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হাটহাজারী উপজেলার নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয় নাঙ্গলমোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বছরের অর্ধেকের বেশি সময় হাঁটু পানিতে ডুবে থাকে এই মাঠ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঐ বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পরিমান পানি জমে আছে। উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঠের কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পানিসহ চলাচলও বন্ধ থাকে সামান্য বৃষ্টিতে। মূলত পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় এমন অবস্থা বলে জানান স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বছরের অর্ধেক সময় আমাদের মাঠে পানি থাকে। অল্প বৃষ্টিতে এই অবস্থা আরও খারাপ হয়। মাঠের কার্যক্রম ও খেলাধুলা বন্ধের পাশাপাশি আমাদের যাতায়াতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো আমরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

নাঙ্গলমোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বরচিতা রায় জানান, অল্পবৃষ্টি হলে আমাদের শ্রেণীকক্ষে পানি ঢুকে ক্লাস বন্ধ করে দিতে হয়। উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করে নির্মাণ করার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফিরোজ জানান, এগুলো আসলে অনেক টাকার বিষয়। আমাদের কাছে মাত্র এক লক্ষ টাকা আছে যা এমপি সাহেব বরাদ্দ দিয়েছিলেন। পরবর্তী বড় ধরনের বরাদ্দ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি লায়ন নুরুল ইসলাম বলেন, এলাকার মানুষের অপরিকল্পিত দালান নির্মাণের কারণে এ সমস্যা। এ কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মাঠে পানি জমে। এই কাজে এলাকাবাসী সহযোগিতা না করলে এবং ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার বরাদ্দ না হলে কোনভাবে জ্বালাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব নয়।

এবিষয়ে নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ প্রতিবেদককে বলেন, আমি নির্বাচিত হয়ে দেখি, মাঠের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় এবং খেলার অনুপযোগী। কালবিলম্ব না করে সরকারি অনুদান ব্যতীত প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ করে মাঠটি খেলার উপযোগী করে একটি টুর্নামেন্টের ঘোষণা দেই। টুর্ণামেন্টে এসে এমপি মহোদয় মাঠ উন্নয়নে এক লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন। যার সাথে আমি দুই লক্ষ টাকা দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য হালদার বাঁধ কেটে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে চূড়ান্তভাবে কথা বলি। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে না জানিয়ে ওই এক লক্ষ টাকা নিয়ে আসেন এবং পরিষদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করেননি। তিনি আরো বলেন আপনার কাছে শুনলাম ১০-১২লাখ টাকা লাগবে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি তা মাত্র দুই-তিন লক্ষ টাকায় করা সম্ভব। নির্বাচিত কমিটি না থাকায় এবং প্রধান শিক্ষকের অসহযোগিতার কারণে দুই স্কুলের শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হলাম। শিঘ্রই এই বিষয়ে খবরাখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।