Hathazari Sangbad
হাটহাজারীবৃহস্পতিবার , ২৩ মার্চ ২০২৩

তারাবির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
মার্চ ২৩, ২০২৩ ৮:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পবিত্র রমজান ইবাদতের মাস। এ মাসের বিশেষ ইবাদত তারাবির নামাজ। আরবি তারবিহা শব্দের বহুবচন তারাবি, যার অর্থ বিশ্রাম করা, আরাম করা। যেহেতু এই নামাজে চার রাকাত পরপর বিশ্রাম নেওয়া হয়, তাই এর নাম তারাবি। পবিত্র রমজান মাসে এশা ও বিতরের নামাজের মাঝে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, শরিয়তের পরিভাষায় এই নামাজকেই তারাবির নামাজ বলা হয়।

তারাবির নামাজ ২০ রাকাত আদায় করা সুন্নতে মুআক্কাদা। অপারগতা ছাড়া তা পরিত্যাগকারী গুনাহগার হবে। পুরুষদের জন্য জামাতের সঙ্গে তারাবি আদায় করা সুন্নতে মুআক্কাদা কেফায়া। যদি মহল্লার কিছু লোক জামাতের সঙ্গে আদায় করে নেয়, তাহলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। নতুবা সবাই গুনাহগার হবে। কোনো ব্যক্তি যদি ঘরে একাকী তারাবি আদায় করে, তাহলে তার তারাবির সুন্নত আদায় হয়ে যাবে; তবে জামাতের সওয়াব থেকে সে বঞ্চিত হবে।

হাদিসে তারাবির নামাজের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি)

মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করেছেন, আর আমি তোমাদের জন্য তারাবির নামাজকে সুন্নত করেছি। যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজান মাসে দিনে রোজা পালন করবে ও রাতে তারাবির নামাজ আদায় করবে, সে গুনাহ থেকে এমন পবিত্র হবে, যেমন নবজাতক শিশু মায়ের গর্ভ থেকে নিষ্পাপ অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হয়।’ (নাসায়ি)

রমজানের নফল ইবাদত অন্য মাসের ফরজ সমতুল্য। ফরজ ইবাদত অন্য মাসের ৭০টি ফরজ সমতুল্য। তাই আসুন, তারাবির নামাজ আদায়ের মাধ্যমে অশেষ নেকি অর্জন করি।