Hathazari Sangbad
হাটহাজারীবৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০২৪

বদর যুদ্ধে আল্লাহর কাছে মহানবী সা.-এর প্রার্থনা

ধর্ম ডেস্ক :
মার্চ ২৮, ২০২৪ ৭:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইসলামের ইতিহাসে সংঘটিত প্রথম যুদ্ধ ছিল বদর যুদ্ধ। যুদ্ধটি সংঘটিত হয় দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান। এ যুদ্ধে অস্ত্রে সজ্জিত এক হাজার মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করেন সহায় সম্বলহীন ৩১৩জনের মুসলিম সাহাবি। এই বাহানীর প্রধান ছিলেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

এই যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। মহানবী সা. আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বাধীন একটি বাণিজ্য কাফেলাকে আটক করতে চেয়েছিলেন। তিনি তা করতে চেয়েছিলেন হিজরতের পর মক্কার কুরাইশদের নানামুখী ষড়যন্ত্র, মদিনা থেকে মুসলমানদের বের করে দেওয়ার অন্যায় চাপ, মদিনার উপকণ্ঠে এসে লুটতারাজ ইত্যাদি কারণে।

কিন্তু আবু সুফিয়ানের কাফেলা রাস্তা পরিবর্তন করে নিরাপদে মক্কায় পৌঁছে যায়। মক্কার মুশরিকরা এটাকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করে মদিনায় সামরিক অভিযান চালায়। সহস্রাধিক সেনার কুরাইশি বাহিনীর বিরুদ্ধে ৩১৩ সদস্যের মুসলিম বাহিনী বিজয় লাভ করে। কুরাইশের বহু শীর্ষ নেতা নিহত হয়। বদর যুদ্ধের বিজয় মদিনায় সার্বভৌম ইসলামী রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করে।

বদর যুদ্ধে আল্লাহর কাছে মহানবী সা.-এর প্রার্থনা

বদর যুদ্ধ শুরুর আগে রাসূল সা. আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ওগো আল্লাহ, আজ তোমার প্রতিশ্রুত সাহায্য বড়ই প্রয়োজন। আজ যদি এ কয়জন মুমিন বান্দা মরে যায়, তাহলে তোমার দ্বীন প্রচারের জন্য আর কোনো মানুষ থাকবে না। তোমার দ্বীনের স্বার্থে তুমি আমাদের বিজয় দান কর।

আল্লাহর রাসূলের দোয়া এমনই কবুল হয়েছে, বিশেষ ফেরেশতা নাজিল করে আল্লাহ তায়ালা মুমিন বাহিনীকে সাহায্য করেছেন। এ সাহায্যের কথা আবার সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, হে মুমিনরা, আল্লাহ তোমাদের বদরে সাহায্য করেছেন অথচ সেদিন তোমরা ছিলে অসহায়। (সূরা আল ইমরান, আয়াত, ১২৩)।

বদরের এ ঘটনা থেকে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হল, মুসলিম উম্মাহ এমন একটি জাতি, যে নীরবে নিভৃতে অত্যাচার-অনাচার-জুলুম সহ্য করাকে ভয়াবহ গুনাহ মনে করে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় কর্তব্য।