আমাদের প্রত্যেকদিনের রুটিনে নিয়মিত একটি অভ্যাস গোসল করা। গোসল করলে শরীর-মনে আসে প্রশান্তি। চাইলে আজ একটু সময় নিয়ে, আয়েশ করে গোসল সারতে পারেন। কেননা, আজ বুধবার (১৪ জুন) আন্তর্জাতিক গোসল দিবস।
গোসলের অনেক উপকারিতা আছে। এ যেমন- রোগজীবাণু প্রতিরোধ করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ইত্যাদি। আজ যেহেতু গোসল দিবস তাই পানির সঙ্গে ফুলের পাপড়ি, লেবু মিশিয়ে গোসল করতে পারেন। আজকের গোসলটা না হয় অন্যদিনের চেয়ে একটু আলাদা হলো। আবার বাথটাবে শরীরটাকে এলিয়ে দিয়ে একটু সময় নিয়ে গোসল করতে পারেন। তাহলে তীব্র এই গরমের দিনে একটু বেশি প্রশান্তি আনবে।
যদিও গোসল দিবসটি আপনার অদ্ভুত লাগতে পারে। কিন্তু, ১৪ জুন আন্তর্জাতিক গোসল দিবস উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর কত কিছু নিয়ে তো কত দিবস আছে, গোসল নিয়ে একটি দিবস থাকলে মন্দ কী?
তবে, আজ গোসল দিবস বলে শুধু একদিন গোসল করতে হবে বিষয়টি মোটেও এমন নয়। বরং প্রতিদিন দিনে অথবা রাতে একবার গোসল করা উচিত। তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে।
এখন প্রশ্ন হলো- গোসল দিবস কীভাবে এলো বা কারা এর প্রচলন করল?
১৪ জুন গ্রিক গণিতবিদ, বিজ্ঞানী এবং পণ্ডিত আর্কিমিডিস গোসলের সময় আবিষ্কার করেছিলেন, পানিতে ডুবে কোনো বস্তুর আয়তন সঠিকভাবে পরিমাপ করা যেতে পারে! এই আবিষ্কারের উত্তেজনা ধরে রাখতে না পেরে আর্কিমিডিস বাথটাব থেকে লাফিয়ে উঠে চিৎকার করে বলেন, ‘ইউরেকা, ইউরেকা!’ শুধু তাই নয় তিনি আনন্দে গ্রিসের সিরাকিউজের রাস্তায় দৌড়াতে শুরু করেন।
ধারণা করা হয়, আর্কিমিডিসের সেই আনন্দের দিনটির স্মরণে ১৪ জুনকে গোসল দিবস হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছিল।
মনে রাখতে হবে, গোসল কিন্তু মোটেও দিবসভিত্তিক কোন ব্যাপার নয়। সুস্থতার জন্য প্রতিদিন অন্তত একবার গোসল করা উচিত। তবে আমাদের আয়েশি গোসল যেন পানি অপচয়ের কারণ না হয়।