ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাউজানস্থ কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এম. এ. মাদরাসার আল-ফজল মুনিরী গাউছুল আজম সম্মেলন কক্ষে বাঙালি জাতির জাতীয় ঐতিহ্যের মহাস্মারক ‘মহান স্বাধীনতা দিবস’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও তৎপরবর্তী জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ বদিউল আলম আহমদী, প্রভাষক মুহাম্মদ তারেকুল ইসলাম প্রমুখ। মহান এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ফাতেহা শরীফ আদায়, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিহত ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় এ মহান স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলমন্ত্র ছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মাতৃভূমির প্রতি অগাধ ভালোবাসা। জাতির জনকের কন্ঠে উচ্চারিত স্বাধীনতা সংগ্রামের আহবানে সাড়া দিয়ে লাখো বাঙালি বুকের তাজা রক্ত বিসর্জন দেয় দেশের আপামর জনতা। ঘরে ঘরে বেজে উঠে যুদ্ধের দামামা। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামল দিগন্তের বুকে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে অঙ্কিত হয় একটি স্বাধীন দেশের মানচিত্র। যার নাম স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ, সোনার বাংলাদেশ। যে দেশে প্রতিদিন ভোরের সূর্য উদিত হয় একরাশ মুজিবীয় হাসি নিয়ে। মুজিব মানে একটি দেশ, মুজিব মানে বুক ভরা সাহস আর ভালোবাসা। মুজিব মানে প্রতিটি ঘরে ঘরে যেন জন্ম নেয়া এক-একটি নিস্পাপ শিশু।
পরিশেষে মিলাদ-কিয়াম আদায় করে উপাধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ বদিউল আলম আহমদী মোনাজাতের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু, রাষ্ট্র পরিচালনায় উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ এবং দীর্ঘ সময়ের মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধা বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।