Hathazari Sangbad
হাটহাজারীবৃহস্পতিবার , ৯ মে ২০২৪

ইরানে বিরল ‘মাছ বৃষ্টি’, তাজ্জব নেটদুনিয়া

অনলাইন ডেস্ক
মে ৯, ২০২৪ ৩:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

‘মুষলধারায় বর্ষণ’ শব্দবন্ধটিকে ইংরেজি ভাষায় প্রায় সময়ই বলা হয় ‘রেইনিং ক্যাটস অ্যান্ড ডগস’। এর আক্ষরিক বাংলা অনুবাদ করলে এর অর্থ হয় ‘বেড়াল-কুকুর বৃষ্টি’।

এটি অবশ্য নিছকই কথার কথা। বাস্তবে বিশ্বের কোথাও কখনও বৃষ্টির সঙ্গে বেড়াল-কুকুর ঝরে পড়েছে— এমন শোনা যায়নি। তবে বেশ বিরল হলেও মাঝে মাঝে বৃষ্টির সঙ্গে মাছ ঝরে পড়ার ঘটনা ঘটেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সর্বশেষ এই ঘটনা ঘটেছে ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কোগিলওয়ে-বোয়ের আহমাদ প্রদেশের ইয়াসুজ শহরে। গত ৫ মে রোববার ভারী বর্ষণের সময় অজস্র মাছ পাকা ফলের মতো ঝরে পড়েছে ইয়াসুজ শহরজুড়ে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে সম্প্রতি ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওচিত্র ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বৃষ্টির সঙ্গে টুপটাপ ঝরে পড়ছে মাছ। প্রতিটি মাছের গড় আকৃতি ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি এবং প্রতিটিই জীবন্ত।

ভিডিওটি যিনি ধারণ করেছেন, তিনিও মাছ ধরতে ধরতেই তা করেছেন।

ইয়াসুজ থেকে ২৮০ কিলোমিটার উত্তরে সমুদ্র উপকূল। ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি সাগরে সাইক্লোন হয়েছে এবং সেটির ঘূর্ণি বাতাসে সাগর থেকে পানির সঙ্গে উঠে এসেছে মাছ।

বৃষ্টির সঙ্গে কীভাবে ঝরে মাছ?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর আগেও মাছ বৃষ্টির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। সাগর কিংবা বড় জলাশয়ের তীরবর্তী কয়েকটি শহরে এর আগে ঘটেছে এই ঘটনা।

কিন্তু মেঘের জলীয় বাস্প থেকে তো মাছ জন্ম নেয় না; তাহলে কী কারণে ঘটে মাছ বৃষ্টি?

বিজ্ঞানীদের মতে, সাগরে যখন শক্তিশালী সাইক্লোন বা টর্নেডো দেখা দেয়, তখন সাগরের পানি ওপরে উঠে বাতাসের তীব্র ঘূর্ণি মিশে যায়। অনেক সময় সেই পানিতে মাছও থাকে এবং বাতাসের ঘূর্ণির মধ্যেই যেহেতু ঘুরতে থাকে পানি, তাই সেই মাছ মরে না।

সাইক্লোন বা টর্নেডোর ঘূর্ণি যখন সাগর থেকে স্থলভাগে উঠে আসে, তখন বাতাসের সঙ্গে থাকা পানির সঙ্গে ঝরতে থাকে মাছও, আর তখনই আমরা প্রত্যক্ষ করি বিরল ‘মাছ বৃষ্টি’।

সূত্র : মিন্ট