Hathazari Sangbad
হাটহাজারীরবিবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৪১ বছরেই ৫৫০ সন্তানের জনক, এবার নিষেধাজ্ঞা দিলেন আদালত

অনলাইন ডেস্ক
এপ্রিল ৩০, ২০২৩ ৬:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শুক্রাণু দান করে ৫৫০-এর বেশি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এই সন্দেহে এক ব্যক্তিকে শুক্রাণু দানে নিষিদ্ধ করেছেন নেদারল্যান্ডসের একটি আদালত। ৪১ বছর বয়সী জোনাথন জ্যাকব মেইজার যদি আবার শুক্রাণু দান করার চেষ্টা করেন, তবে তাকে এক লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হতে পারে।
 
একটি ফাউন্ডেশন এবং এক সন্তানের মা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করার পর ঘটনাটি সবার নজরে আসে। মামলার বিচারক বলেছেন, ‘অতীতে জন্ম দেওয়া সন্তানের সংখ্যার বিষয়ে নতুন সম্ভাব্য পিতা-মাতাদের ভুল তথ্য দিয়েছেন তিনি।’ বিচারক হেসেলিংক শুক্রবার এক রায়ে বলেছেন, ‘এই সমস্ত পিতা-মাতা চরম সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন, তারা জানতে পেরেছেন সন্তানরা একটি বিশাল আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। শত শত ভাই-বোন রয়েছে তাদের।
ঘটনা জানার পর আদালত ওই ব্যক্তির শুক্রাণু দান নিষিদ্ধ করেছেন। নতুন যারা পিতা-মাতা হতে চান, তাদের শুক্রাণু দান করতে পারবেন না তিনি। বিশ্বের যেসব হাসপাতালে তার শুক্রাণু সংরক্ষিত আছে, সেসব হাসপাতালে ওই সব শুক্রাণু ধ্বংস করে ফেলার জন্য জোনাথনকে চিঠি লিখে জানানোরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে ইতিমধ্যে তার শুক্রাণু থেকে যারা মা-বাবা হয়েছেন শুধু তারা চাইলে সংরক্ষিত শুক্রাণু নিতে পারবেন।
 
উল্লেখ্য, জোনাথন তার শুক্রাণু কমপক্ষে ১৩টি ক্লিনিকে দান করেছিলেন। যার মধ্যে ১১টি নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত। ডাচ ক্লিনিক্যাল নির্দেশিকা অনুসারে, দাতারা ১২ জনের বেশি নারীকে শুক্রাণু দান করতে পারবেন না বা ২৫ জনের বেশি সন্তানের পিতা হওয়া উচিত নয়। কারণ জন্ম নেওয়া শিশুরা যখন জানতে পারবে তাদের শত শত ভাই-বোন রয়েছে, তখন তারা বিরক্ত হতে পারে।
 
জোনাথন ২০০৭ সালে শুক্রাণু দান শুরু করার পর থেকে ৫৫০ থেকে ৬০০ সন্তানের জন্ম হয়েছে। ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের ক্লিনিকগুলো তাকে নিষিদ্ধ করেছিল। থামার পরিবর্তে তিনি বিদেশে এবং অনলাইনে শুক্রাণু দান করা শুরু করেন। আদালতের মামলায় একজন শিশুর মা বলেছেন, তিনি কৃতজ্ঞ যে আদালত অন্যান্য দেশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া এই ব্যক্তির শুক্রাণুর গণদান থামিয়েছেন। ওই মা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি তাকে বলেছি এই রায় মেনে নিতে, কারণ আমাদের সন্তানদের একা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’
 
জোনাথনের আইনজীবী আদালতের শুনানিতে বলেছিলেন, তিনি নতুন বাবা-মাকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন, যারা গর্ভধারণে অক্ষম। মেইজার পেশায় একজন সংগীতশিল্পী, বর্তমানে তিনি কেনিয়ায় বসবাস করছেন।