ইসরায়েলের বিমান হামলার পর গাজার অনেক জায়গা থেকে ধোয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজা সীমান্তের কাছে তিন লাখ সেনা জড়ো করেছে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, তারা যে কোনো সময় গাজার ভেতর ঢুকে স্থল হামলা শুরু করতে পারে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়েছে, গাজায় হামলা চালাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তারা গাজার কাছে সেনা ছাড়াও অসংখ্য ট্যাংক, কামান ও সামরিক বুলডোজার জড়ো করেছে।
তবে ইসরায়েল সেনাদের জড়ো হওয়া এবং গাজায় সম্ভাব্য হামলা নিয়ে হামাস শঙ্কিত নয় বলে জানিয়েছেন— স্বাধীনতাকামী এ গোষ্ঠীর নেতা গাজী হামাদ।
তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমরা ভয় পাই না। আমরা শক্তিশালী মানুষ। এই অভিযান অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের অনেক যোদ্ধা এবং সমর্থক আছেন; যারা আমাদের সহায়তা করতে চান।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এমনকি জর্ডান সীমান্ত, লেবানন এবং সব জায়গার মানুষ এখানে আসতে চায় এবং আমাদের জন্য লড়াই করতে চায়। গাজা কোনো (ফুলের) বাগান নয়। তারা যদি কোনো হামলা চালায় তাহলে এটি তাদের জন্য খুবই ব্যয়বহুল হবে।’
গাজাভিত্তিক হামাসের এই নেতা আরও বলেছেন, ‘অভিযান শুরুর পর আমরা ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ যোদ্ধাকে পাঠিয়েছি। যারা ইসরায়েলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে। ইসরায়েলের নিরাপত্তা, ইসরায়েলের গোয়েন্দা তথ্য এবং ইসরায়েল যে একটি সুপার পাওয়ার সেই ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সমর্থ হয়েছে।’
সূত্র: আল জাজিরা