Hathazari Sangbad
হাটহাজারীবুধবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ কনস্টেবলের বাসায় প্রেমিকার আত্মহত্যা

অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩ ৪:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ হোসেনকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন লামিয়া আক্তার (২২) নামের এক তরুণী। বিষয়টি নিয়ে সোহাগের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সোহাগের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন লামিয়া।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, লামিয়া ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার পর থেকে পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ হোসেন পলাতক রয়েছেন।

মৃত লামিয়া আক্তারের মা মঞ্জু বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মেয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। চার বছর ধরে লামিয়ার সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এর আগে সোহাগের একটি বিয়ে হয়েছিল। সে আমার মেয়েকে বিয়ে করবে করবে বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কথা বলে।

তিনি বলেন, আমরা বিয়ের ব্যাপার নিয়ে কথা বলার জন্য সোহাগের বাসায় দুইদিন ধরে আছি। সোহাগ ডিউটিতে গেলে ফোনে তার সঙ্গে আমার মেয়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সোহাগের বাসার ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে লামিয়া। পরে আমি লামিয়াকে ঝুলে থাকতে দেখে সোহাগকে খবর দেই। এরপর সোহাগসহ আমরা লামিয়াকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লামিয়া মারা গেছে শুনে আমার মেয়ের মোবাইলসহ সোহাগ ঢাকা মেডিকেল থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সোহাগের আগে বিয়ে হওয়ায় আমরা প্রথমে রাজি হইনি। পরে মেয়ের কথা চিন্তা করে আমরা তার সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হই। কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চায়নি। আমি আমার মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাই।

মঞ্জু বেগম বলেন, আমার স্বামী ইরাকে থাকে। আমার দুই মেয়ের মধ্যে লামিয়া বড় ছিল। আমাদের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার চরগাঁও এলাকায়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাতুয়াইল এলাকা হতে এক তরুণীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের মা জানান, পুলিশ কনস্টেবল সোহাগ হোসেনের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় সে সোহাগের বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সোহাগ পুলিশের পোশাক পরেই ঢাকা মেডিকেলে এসেছিলেন। পরে এখান থেকে ঘটনার বিষয়টি বুঝতে পেরে সটকে পড়েন। আমরা বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানাকে জানিয়েছি। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।