রংপুরের কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আহসান উল ফেরদৌসের সঙ্গে একই বিভাগের এক ছাত্রীর আপত্তিকর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরেছে।
এ বিষয়ে জানতে কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আহসান উল ফেরদৌসের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর গত রোববার (৭ মে) কৈফিয়ত তলব করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমজাদ হোসেন ওই শিক্ষককে একটি পত্র দিলেও তাতে কোনো সাড়া দেননি অভিযুক্ত শিক্ষক। বরং ওই শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান বরাবর ১৫ দিনের মেডিকেল ছুটি নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন।
অধ্যক্ষ কৈফিয়ত তলবে উল্লেখ করেন ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেল, আপনার (জনাব আহসান উল ফেরদৌস, আইডি নম্বর-১০১১০১২, প্রভাষক, অর্থনীতি) নৈতিক স্খলনজনিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা একজন শিক্ষক হিসেবে লজ্জাজনক, মানহানিকর এবং এই কলেজের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে ম্লান করেছে। এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হবে না, তা এই পত্র প্রাপ্তির ৩ (তিন) কার্যবিসের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের এমন লজ্জাজনক ও মানহানিকর ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে কলেজের অর্থনীতি বিভাগ আজ বুধবার দুপুরে বিভাগের সেমিনার কক্ষে এক জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকে প্রভাষক আহসান উল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কারমাইকেল কলেজে ১৯৮২ সালে অধ্যয়নকারী এবং বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের একটি বিভাগের প্রধান এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কলেজের সঙ্গে জানাশোনা আমার ৫০ বছরের বেশি। শিক্ষক-ছাত্রীর সঙ্গে এমন লজ্জাজনক ঘটনা এবারই প্রথম। আমাদের মাথা নিচু হয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে যেন আসতেই লজ্জা লাগছে। আমি মনে করি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কঠোর হবে।’
কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন আজকের বলেন, ‘বিষয়টি ওই ছাত্রীর পক্ষ থেকে বা শিক্ষকের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়নি। ভিডিওর বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমার নজরে আসলে আমি ওই শিক্ষককে তলব করে কৈফিয়ত নোটিশ দিয়েছি। এখনো কোনো জবাব দেয়নি। জবাব দেয় কি না সেটা আমরা দেখব। এরপর আইনগত প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখব।’