Hathazari Sangbad
হাটহাজারীবৃহস্পতিবার , ৪ মে ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের জন্য প্রতিবেশীর হাতে শিশু খুন

অনলাইন ডেস্ক
মে ৪, ২০২৩ ৬:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নগরের চান্দগাঁওয়ের পশ্চিম মোহরা এলাকায় ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের জন্য প্রতিবেশী যুবকের হাতে খুন হয়েছে মো. শফিউল ইসলাম রহিম নামে এক শিশু।হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর বুধবার রাত তিনটার দিকে পার্শ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন বাড়ির রুমের মাটি খুঁড়ে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী ওই যুবক ও তার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, ৫০ হাজার টাকার জন্য শিশুটিকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন— চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই সড়কর চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আজম খান (৩২) ও পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে মুজিবুর দৌলা হৃদয় (২৮)। আজম খানকে নগরের হালিশহর এলাকা থেকে এবং তার সহযোগী মুজিবুর দৌলা হৃদয়কে বলীরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই শিশু। শিশুটি ওই এলাকার মো. সেলিম উদ্দিনের ছেলে। সে একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। নিখোঁজের পর ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওইদিনই ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি। এ ঘটনায় শিশুর বাবা চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

পুলিশ আরও জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত প্রতিবেশী আজমকে শনাক্ত করা হয়। ওই দিনই নিখোঁজ শিশু ও আজমকে একসঙ্গে দেখা যায়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার (৩ মে) আজমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আজম খান শিশু শফিউলকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তার দেখানো মতে বুধবার দিবাগত রাতে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে আজমের বন্ধু মুজিবুর দৌলা হৃদয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম  বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটির প্রতিবেশী আজম খান ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করে এবং ওইদিনই শিশুটিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। আজম খান আমাদের কাছে স্বীকার করেছে সে এক মাস আগে থেকে অপহরণের পরিকল্পনা করেছে। শুধু কি টাকার জন্য শিশুটিকে হত্যা করেছে নাকি অন্য কোনো মোটিভ আছে তা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।’