Hathazari Sangbad
হাটহাজারীশনিবার , ৫ আগস্ট ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৪৬,৭২৫ হাজার টাকা ফেরত পাবেন যেসব হাজি

অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ৫, ২০২৩ ৮:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তাদের প্রত্যেকে ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা করে ফেরত পাবেন। খাবার ও প্যাকেজের খরচ কমানোর কারণে এ টাকা সাশ্রয় হয়েছিল। এরই মধ্যে অনেক হাজি এ টাকা উত্তোলন করেছেন। যারা এখনও এ টাকা তুলেননি তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

হজ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মনিরুজ্জামান সই করা নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২৩ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা পবিত্র হজ করতে গিয়েছিলেন কিন্তু খাবার বাবদ ২৫ হাজার টাকা এবং হজ প্যাকেজের খরচ কমা বাবদ ১১ হাজার ৭২৫ টাকাসহ মোট ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত নেননি তাদের দ্রুত ধর্ম সচিবের বরাবর আবেদন করে টাকা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নির্ধারিত চকে হাজির নাম, পিআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর, হিসাবের শিরোনাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ব্যাংকের নাম ও শাখা এবং রাউটিং নম্বর দিয়ে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ প্যাকেজ করার সময় খাবারের খরচ বাবদ একটা অংশ ধরা হয়। পরবর্তীতে খাবার বাবদ যে টাকা খরচ হয় তা ওই টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে সাশ্রয় হওয়া টাকা হাজিদের ফেরত দেওয়া হয়। প্রতি বছর এ টাকা ফেরত পেয়ে থাকেন হাজিরা।

অন্যদিকে গত ২২ মার্চ সৌদি সরকার ২০২৩ সালের হজের জন্য ঘোষিত প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত মিনার তাঁবুর খরচ চারটি (এ, বি, সি, ডি) ক্যাটাগরির সেবার মূল্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য ৪১৩ রিয়াল কমায়। ৪১৩ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ (২৮.৩৯ টাকা ধরে) ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়।

ওই সময় ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সরকারিভাবে নিবন্ধন করা হাজিদের টাকা ঢাকা অফিস থেকে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে একজন হজযাত্রী খাবারের মূল্য ২৫ হাজারের সঙ্গে সৌদি সরকারের কমানো টাকা ১১ হাজার ৭২৫ সহ মোট ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত পাবেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর সৌদিতে যাওয়ার জন্য চুক্তি হয়। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার বাকি ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলতি বছর হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৯ বার নিবন্ধনের সময় বাড়িয়েও কোটা পূরণ করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ২২ হাজার ৫০০ জন হজে যান। বাকি প্রায় ৫ হাজার কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দেয় বাংলাদেশ।