বিয়ে করেছেন মাত্র দেড় বছর আগে। নবজাতক ছেলে সন্তানের বয়স মাত্র তিনমাস। কানে হেডফোন লাগিয়ে ট্রেনের রাস্তা পার হয়ে অফিসে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অফিসে যাওয়া হলো না তার। পথে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারালেন খোন্দকার সালাউদ্দিন রাজু (৩৩)। তিনি পাহাড়তলী সিলভার ফুড’র অফিস একাউন্ট্যান্ট।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে নগরীর ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ের পাশে এ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
নিহত রাজু রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সর্তা মোহাম্মদ জামান খোন্দকার বাড়ির হাবিব উল্লাহ সওদাগরের ছেলে।
নিহতের প্রতিবেশী চাচা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মোদাচ্ছের হায়দার বলেন, ‘রাজু চাকুরির সূত্রে নগরীর শীতল ঝর্ণা এলাকায় বাসায় থাকতেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজু বাসা থেকে নগরীর পাহাড়তলীর কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এসময় ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ের পাশে একটি সিএনজি অটোরিক্সা বদল করে আরেকটি সিএনজিতে ওঠার জন্য হেঁটে রেলের রাস্তা পার হচ্ছিলেন তিনি। এসময় তার কানে ছিল হেড ফোন। ট্রেন আসার শব্দ শুনতে না পেয়ে ট্রেনে কাটা পড়েন রাজু। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
৩ ভাই, ২ বোনের মধ্যে নিহত রাজু ছিলেন ভাইদের মধ্যে ২য়। দেড় বছর আগে পাশের ডাবুয়া ইউপির হিংগলা গ্রাম থেকে তিনি বিয়ে করেন। তিনমাস বয়সী এক ছেলে সন্তান আছে তার। এদিকে রাজুর মৃত্যু খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার, প্রতিবেশী, বন্ধু ও পরিচিত মহলে।
স্থানীয় মসজিদের খতিব মাওলানা হাবিবুল হোসাইন বলেন, ‘খুব কাছ থেকে দেখেছি ছেলেটাকে। দেড়বছর আগে তার আকদও আমি পড়িয়েছি। ব্যক্তি জীবনে সে কারো সাথে ঝগড়া করেছে এরকম আমার জানা নেই। অত্যন্ত সহজ-সরল ভদ্র, নম্র একজন মানুষ। সদা হাস্যোজ্জ্বল ছিল রাজু। তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমি ব্যথিত, মর্মাহত, শোকাহত।’