Hathazari Sangbad
হাটহাজারীসোমবার , ৭ আগস্ট ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হাটহাজারীতে ৪০টি গ্রামে ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

অনলাইন ডেস্ক
আগস্ট ৭, ২০২৩ ২:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হাটহাজারীতে কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষণে উপজেলার আওতাধীন ৪০ টি গ্রামের ২ লক্ষাধীক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অপেক্ষাকৃত নিম্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রবিবার (০৬ আগস্ট) খোলার প্রথম দিন অঘোষিত ভাবে বন্ধ ছিল।

প্রবল বৃষ্টির কারনে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারেনি। নিচু এলাকার অনেক মসজিদ মাদ্রাসায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এদিকে রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চাল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্নস্থানে উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুৎ প্রবাহ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। অপরদিকে, পানিতে তলিয়ে গেছে বোয়ালখালীর অধিকাংশ রাস্তাঘাট। পানি উঠার কারণে ব্যাহত হয়েছে অফিস আদালত স্কুল–কলেজ ও হাসপাতালের কার্যক্রম । এতে দুর্ভোগ বেড়েছে এলাকাবাসির, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের।

উপজেলার আওতাধীন মন্দাকিনী, পূর্ব ফরহাদাবাদ, সেকান্দর পাড়া, পূর্ব ধলই, মাইজপাড়া, পূর্ব এনায়েতপুর, মনোহর পাড়া উত্তর ছাদেক নগর, গুমানমর্দ্দন বড়ুয়া পাড়া, কাটাখালীর কুল,মাস্টার পাড়া, রুদ্রপুর, কাজিরখীল, মোহাম্মদপুর, মীরেরখীল, কদলবাড়ী, মোজাফফরপুর, ভাগিরঘোনা, রহিমপুর, ইছাপুর, পূর্ব মেখল, ভবানীপুর, উত্তর মার্দাশা, মাদারীপোল, সাইনবোর্ড, খলিপারঘোনা, বাথুয়া, কুয়াইশ, বুড়িশ্চর, মধ্যম মার্দাসা গড়দুয়ারা, লোহারপোল, শিকারপুর, খন্দকিয়া, নাঙ্গলমোড়া, কুমারীকুল, সিকদারপাড়া, চারিয়া (আংশিক), মধুরঘোনা, আনন্দ বাজার, দক্ষিণ মেখল, পূর্ব ফতেপুর, মেহেরনেগা, মাছুয়াঘোনা প্রভৃতি এলাকার ৪০ টি গ্রামের প্রায় দুই লক্ষাধিক লোক পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে। উপরের অংশ থেকে ঢলের পানি কমলেও নিচু এলাকার বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে অবনতি হচ্ছে। দক্ষিণ হাটহাজারীর শিকারপুর ও বুড়িশ্চর এলাকার কৃষ্ণখালী ও কুয়াইশ খাল দীর্ঘদিন সংস্কার ও খনন না করায় এই দুই ইউনিয়নের গ্রামীন সড়ক ও রাস্তাঘাট, এমনকি বসত ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

রাউজান উপজেলার দক্ষিণাংশের উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা, নোয়াপাড়া, বাগোয়ান,পূর্বগুজরা,বিনাজুরী ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের উপর দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি গড়িয়ে পড়ছে। কোনো কোনো রাস্তা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। হালদা ও কর্ণফুলীর পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলোতে মানুষের বাড়ি ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাট বাজারের দোকান গুলোতে হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেকেই ঘরে চলছেনা রান্না। অনেকেই গৃহপালিত পশু নিয়ে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে।