হাটহাজারীতে দীর্ঘদিন ধরে মলম পার্টির খপ্পরে সর্বস্ব হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবকিছু হারিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে সজাগ রয়েছে বাসের চালক ও হেলপার সহ সংশ্লিষ্ট সবাই।
এরমধ্যে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড থেকে দ্রুতযান স্পেশাল সার্ভিসের যাত্রীবাহী একটি বাস চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়, মহাসড়কের বড় দিঘীরপাড় এলাকায় পৌঁছালে মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন (৪০) নামে এক যাত্রীকে আচারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় মলম পার্টি চক্রের দুই সদস্য। বিষয়টি বাসের হেলপার ও অন্যান্য যাত্রীরা বুঝতে পেরে তাদের আটক করে ফের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে আসে।
অন্যদিকে তোফাজ্জল হোসেনকে অচেতন অবস্থায় প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করে। তিনি বর্তমানে সেখানে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। আটককৃত মলমপার্টি চক্রের সদস্যরা হলো ফরিদপুরের আবুল হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ রাকিব (৫৫) ও ভোলা জেলার মোহাম্মদ লোকমানের পুত্র মো. জাকির (৪৫)। প
রে আটককৃতদের থানার পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়। হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিউটি ডাক্তার শারমিন জানান, আহত তোফাজ্জল গুরুতর আহত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে।
দ্রুতযান সার্ভিসের লাইনম্যান মোঃ মুন্না বলেন, দীর্ঘদিন থেকে মলম পার্টির খপ্পরে পড়ে যাত্রীরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও বিশেষ প্রয়োজনীয় জিনিস হারাচ্ছে, সে কারণে আমাদের গাড়ির হেলপারদের মাধ্যমে বাসের ভিতর নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। হাটহাজারী থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসটিতে তোফাজ্জল নামে এক যাত্রীকে আচারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হলে তোফাজ্জল অচেতন হয়ে যায়। এরপর তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেই মলম পার্টির সদস্যরা। এসময় যাত্রী ও গাড়ির হেলপার দেখতে পেয়ে তাদেরকে ধরে হাটহাজারীতে নিয়ে আসে। পরে থানা পুলিশের নিকট তাদের হস্তান্তর করা হয়।
এবিষয়ে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, দুই মলম পার্টিকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।