ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গতকাল সোমবার (২৭ মে) রাত থেকেই দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলার মতো হাটহাজারীতেও ভেঙে পড়েছে গাছ ও ঢালপালা। ভেঙে গেছে বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছ পড়ে ছিঁড়ে গেছে তার। যার কারণে রাত থেকেই রয়েছে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন । এতে চরম ভোগান্তি পড়েছেন হাটহাজারীর মানুষ।
এদিকে তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় সোমবার (২৭ মে) দুপুর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন পৌরসভার ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। একই কারণে বিচ্ছিন্ন রয়েছে ইন্টারনেট সেবাও। বন্ধ রয়েছে মোবাইল অপারেটর নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ৷ দুর্ভোগে নেমে আসে জনজীবনে।
হাটহাজারীর এলাকাবাসীরা জানান, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর বিদ্যুৎ আসে আর য়ায়। সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎতের দেখা নেই। এতে বাসাবাড়িতে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে খাবার ও ব্যবহারের পানি তোলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, ঝড়ের কারণে হাটহাজারীসহ চট্টগ্রামের ৮ উপজেলায় ৭১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, ৯৫টি খুঁটি হেলে পড়েছে, ৩৪৯ জায়গায় তার ছিঁড়ে গেছে, ২৫টি ট্রান্সফরমার ও ৩৩০টি মিটার নষ্ট হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ চট্টগ্রাম দক্ষিণের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল ও ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের বেশকিছু এলাকা সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে বিভিন্ন ভবনের নিচতলা এবং মিটার ইউনিট পানিতে ডুবে যাওয়ায় এসব এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রাতে দুর্যোগের কারণে আমাদের লোড ৩৫০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছিল। এখন সেটি ৬০০ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ হয়েছে।