Hathazari Sangbad
হাটহাজারীমঙ্গলবার , ২৫ জুলাই ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোজ্যতেলের দাম কমছে

অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ২৫, ২০২৩ ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনের জেরে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারেও কমছে ভোজ্যতেলের দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাম ও সয়াবিন উভয় তেলের মণপ্রতি (৩৭.৩২ কেজি) দাম কমেছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে পাইকারি বাজারে দরপতন হলেও খুচরা বাজারে ভোক্তারা সরাসরি কোনো সুফল পাচ্ছেন না। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে মাঝখানে ভোজ্যতেলের সরবরাহ সংকট হওয়ায় বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে এখন ভোজ্যতেলের বাজার নিম্নমুখী। তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি মণ পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৬২০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৪ হাজার ৭২০ টাকায়। এছাড়া বর্তমানে প্রতি মণ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ১০০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ২৫০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের কয়েকজন তেল ব্যবসায়ী জানান, খাতুনগঞ্জের বাজারে পণ্য বেচাকেনা ও লেনদেনে যুগ যুগ ধরে কিছু প্রথা চালু আছে। নিজেদের সুবিধার অনেক প্রথা আছে যেগুলো আবার আইনগতভাবেও স্বীকৃত নয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) স্লিপ। তেল কিংবা অন্য কোনো পণ্য কেনাবেচায় ডিও বেচাকেনার মাধ্যমে আগাম লেনদেন হচ্ছে। দেখা যায়, পণ্য হাতে না পেলেও ওই স্লিপটিই বেচাকেনা হচ্ছে। কোনো কোম্পানি বাজার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের ডিও কিনে নেয়। যে দরে ডিও কেনা হয়, তার বাজার দর যদি বেড়ে যায়, তখন পণ্যটি ডেলিভারি দিতে তারা গড়িমসি করে। আবার দেখা যায়, কোম্পানির পণ্যই আসেনি কিন্তু ডিও কিনে রেখেছেন অনেক বেশি। এর ফলেও কোম্পানি বাজারে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারে না। ফলে এসব পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এক্ষেত্রে তেল ও চিনির ডিও বেচাকেনা বেশি হয়। বলা যায়, ডিও কারসাজির কারণে মাঝে মাঝে পণ্যের দাম আকাশচুম্বি হয়ে ওঠে।