Hathazari Sangbad
হাটহাজারীশনিবার , ২৫ মার্চ ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ব্যাটারির পানি পান করে মা-মেয়ের রহস্য জনক মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ২৫, ২০২৩ ৮:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে ঘরে থাকা সোলার ব্যাটারির পানি পান করে মা-মেয়ের রহস্য জনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লাশ পড়ে আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। 

খবর নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সাড়ে চারটার দিকে  উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ছাদের ঘোনা গ্রামের মানিকের স্ত্রী জেসমিন আকতার প্রকাশ নয়ন মনি (২০) শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ১০ মাসের মেয়ে শিশুকে ব্যাটারির পানি খাইয়ে নিজেও পান করে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের নজরে আসলে তারা শিশুটিকে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে গৃহবধূ নয়ন মনি (২০) কে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৪ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৫.২০ মিনিটের সময় মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হওয়া মা ও মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সোহেল।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়।নয়ন মনির শাশুড়ি জানান, একটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে সংসারে অশান্তি চলছিল। একদিন আগে বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। পরিবারের লোকজনের কারণে করতে পারেনি। তিনি বলেন, ১ম রোজার ইফতারের আগে আমার নাতনীকে ব্যাটারির পানি খাইয়ে দিয়ে  নিজেও পান করে নিজের রুমে শুয়ে থাকে। আমার নাতনি কান্না করতে থাকলে আমরা বিষয়টি জানতে পারি।

তবে নয়ন মনির পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হতো।  নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে সে। এ বিষয়ে এলাকার মেম্বার ছাবের আহমদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানতাম না। হঠাৎ রাত ১ টার দিকে নয়ন মনির শশুর বাড়ি থেকে ফোন করে জানালে বিষয়টি জানতে পারি। তারা আমাকে বিষয়টি সমাধান করে দিতে বলেন।

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ব্যাটারির পানি পান করে আত্মহত্যার ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দিতে আসেননি।

এদিকে এলাকার ইউপি সদস্য ছাবের আহমদ জানান, থানায় গিয়ে মেয়ের পিতা লাপাত্তা। মামলার ভয়ে শশুর বাড়ির লোকজন লাপাত্তা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ বাড়িতে নেয়ার বিষয়ে কোন সমাধান হয়নি।