চ্ট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রোশনি আক্তার সায়মা (২০) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তার নিজ বাড়ি ফটিকছড়ি সুয়াবিল ইউনিয়নে।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) রাত ১২টার দিকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা নিহতের শ্বশুরবাড়ির উঠানে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর এক বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
তিনি হাসনাবাদ গ্রামের দিদারুল আলমের স্ত্রী। দিদার ফটিকছড়ির নানুপুর এলাকার একটি হাসপাতালে চাকরি করেন।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গৃহবধূর স্বামী দেলোয়ার আলমসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রাতে পুকুর পাড়ে রোশনির রক্তাক্ত মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার জানান, ‘নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করছে, ডাকাতরা নাকি তাকে হত্যা করেছে। তাদের কথাবার্তায় আমার সন্দেহ হচ্ছে। কীভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করছে পুলিশ।’
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ জানান, নিহতের বাবার পরিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও দুই ননদকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও নিহতের ননদের রক্তমাখা জামা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
