Hathazari Sangbad
হাটহাজারীসোমবার , ১৭ এপ্রিল ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তীব্র গরমেও মার্কেটে ক্রেতার ঢল

অনলাইন ডেস্ক
এপ্রিল ১৭, ২০২৩ ৮:৪৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঈদের বাকি আর সপ্তাহও নেই। এর মধ্যে প্র্রকৃতিতে এখন বইছে তীব্র তাপদাহ। এই তাপদাহের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মার্কেটমুখী ক্রেতাদের। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় একপ্রকার বাধ্য হয়ে তীব্র গরমেও কেনাকাটা সারতে মার্কেটের দিকে ছুটতে হচ্ছে। তাই মার্কেটগুলোতেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
 
ব্যবসায়ীরা জানান, গত ক’দিনের গরমে একেবারে নাকাল অবস্থা। দিনের বেলায় গরমের কারণে খুব বেশি ক্রেতা আসছেন না। তবে ইফতারের পর থেকে মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বাড়ছে।
 
গতকাল নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমুণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, টেরী বাজার, চকবাজারের মতি টাওয়ার, কেয়ারি, বালি আর্কেড, ২ নম্বর গেট শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার ওশান সিটি, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভর দুপুরে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে মার্কেটে ক্রেতারা আসছেন। গরমের কারণে ক্রেতাদের চেহেরায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। তারপরেও যেহেতু সময় কম, তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মার্কেটগুলোতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ। অন্যদিকে আবার গরমের সাথে যানজটও ক্রেতাদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। গতকাল দুপুরে নগরীর তামাকুমুণ্ডি লেইনে কথা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শফিক আহমেদের সাথে। তিনি জানান, দুইদিন পর গ্রামে চলে যাবো। হাতে সময় একেবারে নেই। তাই জুতা কিনতে তামাকুমুণ্ডি লেইনে এসেছি। একে তো তীব্র গরম, তারপরও মানুষের উপচে পড়া চাপ। তামাকুমুণ্ডি লেইনের গলিগুলোতে ছোট ছোট ফ্যান চললেও সেই সবের বাতাস পর্যন্ত গরম হয়ে গেছে। শরীর থেকে ঘাম ঝরতে ঝরতে মনে হয় আর শরীরে অবশিষ্ট পানি জমা নেই।
 
তামাকুমুণ্ডি লেইনের মতোই নগরীর আরেক ব্যস্ততম মার্কেট রেয়াজুদ্দিন বাজারের। অবকাঠামোগতভাবে মার্কেটটিতে আলো বাতাস প্রবেশের তেমন জায়গা নেই। তাই যেসব ক্রেতা বর্তমানে রেয়াজুদ্দিন বাজারে যাচ্ছেন তাদের একপ্রকার ঘামে ভিজে বের হতে হচ্ছে। অবশ্য রেয়াজুদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে প্রতি বছর ঈদের ১০–১৫দিন আগে থেকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। ক্রেতা সমাগম বাড়ার কারণে গরমের তীব্রতা আরো বেশি অনুভূত হচ্ছে। অপরদিকে নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটের সরু গলিগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বিক্রেতাদেরও ক্রেতাদের সাথে দরদাম করে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে। বিক্রেতা ইলিয়াস উদ্দিন জানান, গরমের কারণে আমাদেরও বেশ কষ্ট হচ্ছে। এখন বেচাকেনার সময়। এই সময়ে গরমের কারণে অনেক ক্রেতা দ্রুত কেনাকাটা করে চলে যাচ্ছেন। কারণ বিশেষ করে রমজানের সময় এই ধরণের গরম আসলেই ভোগান্তির।
 
জানতে চাইলে জহুর হকার্স ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, সময় গড়ানোর সাথে মার্কেটে ক্রেতা সমাগমও বাড়ছে। কিন্তু বর্তমানে মার্কেটে সবচেয়ে বড় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গরম। আমাদের জহুর হকার্স মার্কেটের আশপাশের অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় ভালো। আমাদের মার্কেটটি বেশ খোলামেলা। রোদ, বৃষ্টি এসবের উপর তো কারো হাত নেই। ক্রেতারা কিন্তু গরম উপেক্ষা করেই মার্কেটে আসছেন। বিক্রি চলছে পুরোদমে।
 
তামাকুমুণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, মার্কেটে এখন জমজমাট বেচাবিক্রি হচ্ছে। গরমের জন্য একটু সমস্যা হচ্ছেই। তারপরেও ক্রেতারা আসছেন এতে ব্যবসায়ীরা সন্তুষ্ট।