Hathazari Sangbad
হাটহাজারীরবিবার , ২৩ জুলাই ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এ বছর মারাত্মক হতে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ

অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ২৩, ২০২৩ ৫:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্বে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির ভাষ্য, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বংশ বিস্তারের সহায়ক পরিবেশ পাচ্ছে মশা। ফলে অন্যান্য মশাবাহিত রোগের মতো বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপও। সংস্থাটির এক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এখন ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, ডেঙ্গুর বিস্তার পৃথিবীজুড়েই বাড়ছে। ২০০০ সালে যত মানুষ মশাবাহিত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল, সেই সংখ্যা আট গুণ বেড়ে ২০২২ সালে ৪২ লাখে উন্নীত হয়েছে।

এ বছর মার্চে সুদানের রাজধানী খার্তুমে প্রথমবারের মতো ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। ইউরোপে রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। পেরুর বেশিরভাগ অঞ্চলে ডেঙ্গুর কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু।

গত জানুয়ারিতে ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছিল, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগগুলোর মধ্যে বর্তমানে ডেঙ্গুই বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা মহামারীতে পরিণত হওয়ার শঙ্কা তৈরি করছে। ডব্লিউএইচওর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ড. রমন ভেলাউধন গত শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ এখন ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

২০১৯ সালে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের ১২৯টি দেশে। ওই বছর সব মিলিয়ে ৫২ লাখ মানুষের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছিল, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। ড. রমন বলেন, এ বছর ডেঙ্গু যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে বিশ্বে রোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে কি না, তা নির্ভর করছে এশিয়ার দেশগুলোতে বর্ষা মৌসুম দীর্ঘায়িত হবে কি না তার ওপর।

দুই আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে ইতিমধ্যে ৩০ লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এ বছর। দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও পেরুর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ডেঙ্গুর সবচেয়ে বাজে প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা। সেখানে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বিস্তার ঠেকাতে রেডিয়েশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

ডব্লিউএইচও বলছে, রোগীর যে সংখ্যা সরকারের খাতায় আসে, তা মোট সংক্রমণের একটি অংশমাত্র, কারণ অনেকের মধ্যেই উপসর্গ সেভাবে স্পষ্ট হয় না। অনেকেই পরীক্ষার বাইরে থেকে যায়। এই রোগে মৃত্যুর হার ১ শতাংশের কম। উষ্ণ আবহাওয়া এডিস মশার দ্রুত বংশবৃদ্ধি এবং তাদের দেহের ভেতরে ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। পাশাপাশি নগরায়ণ, পণ্য পরিবহন ও মানুষের চলাচল, দুর্বল পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা মশার বিস্তারে সহায়ক হয়।