ইসরায়েল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও ফিলিস্তিনকে দোষারোপ করা হচ্ছে। অথচ ইসরায়েলিদের হামলায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে গাজায়। গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ এবং ওষুধ সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামদান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছ থেকে অর্থ নয় সহমর্মিতা চায় ফিলিস্তিনের বিপন্ন মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে ফিলিস্তিনের দূতাবাসে ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোর অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ওআইসির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইসরায়েলিরা এত ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরও আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে নারী ধর্ষণ, শিশু হত্যাসহ নানা বিষয়ে ফিলিস্তিনকে দোষারোপ করে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
ইসরায়েলিদের হামলায় নানা সংকট তৈরি হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা এখন এখন এক মৃত্যুপুরী। মরদেহ রাখারও জায়গা হচ্ছে না মর্গগুলোতে। তারপরও পিছুটান নেই ফিলিস্তিনিদের।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পাশে থাকায় সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। জয় বা পরাজয়, এবার তা চূড়ান্ত হতে পারে। তাই যুদ্ধও হবে দীর্ঘমেয়াদি। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এরই মধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাস্তুচ্যুত আড়াই লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।