Hathazari Sangbad
হাটহাজারীরবিবার , ১৪ এপ্রিল ২০২৪

মঙ্গলবার্তা নিয়ে চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শোভাযাত্রা

অনলাইন ডেস্ক
এপ্রিল ১৪, ২০২৪ ৫:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নববর্ষে মঙ্গলবার্তা নিয়ে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতিবারের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট।

বাংলার চিরায়ত সাজে নববর্ষ বরণের অংশ হিসেবে এই আয়োজন করে আসছে চারুকলা ইনস্টিটিউট। ‘নবতর রূপে করি বাংলার বন্দনা’স্লোগানে রোববার (১৪ এপ্রি) সকাল সাড়ে নয়টার চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।

চট্টেশ্বরী মোড়-আলমাস মোড়-কাজির দেউরী মোড়-এস এস খালেদ রোড-প্রেস ক্লাব ইউটার্ন-সার্সন রোড হয়ে পুনরায় চারুকলা ইনস্টিটিউটে শেষ হয়। বরাবরের মত মঙ্গল শোভাযাত্রায় এবারও বিভিন্ন পশুপাখির প্রতিকৃতি স্থান পায়।

চবি চারুকলার ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী স্বপ্নিল ভট্টচার্য্য জানান, প্রতিবারের মত এবারও আমাদের আয়োজনে ভিন্নতা রাখার চেষ্টা করেছি। আবহমান বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীকী উপস্থাপন স্থান দেওয়ার চেষ্টা ছিল আমাদের। অশুভ শক্তি দূর করে নতুন বছরে নতুন আবাহনে সৌন্দর্য বরণের প্রত্যয়ে আমাদের এই মঙ্গল শোভাযাত্রা।

চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী জানান, ইউনেসকোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা অশুভকে দূর করা, সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতীক। এই শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালির ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাতিগত সব ধরনের বৈশিষ্ট্য এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরিত হয়।

১৯৯০ সালে প্রথম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন শুরু হয়। ২০১০ সালে চারুকলা বিভাগ চারুকলা কলেজের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর চারুকলার শিক্ষার্থীরা স্বতন্ত্রভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন শুরু করে। ২০০৬ সালে চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা নববর্ষের বারতা, বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নগরীর সাধারণ মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে ছোট পরিসরে আয়োজন করেছিলেন মঙ্গল শোভাযাত্রা। পরবর্তীতে এ শোভাযাত্রা আয়োজনের ভার নেয় চবি’র চারুকলা ইনস্টিটিউট।

গত বছর মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবি চবি চারুকলার শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। যার আঁচ পাওয়া যায় বর্ষ বরণের আয়োজনে। গত বছর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক কোনো আয়োজনও না থাকলেও শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। বৈশাখী আয়োজনে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার হলেও শিক্ষার্থীদের ওই আয়োজনে ছিল না এসব রং। সাদাকালো রং ব্যবহার করে প্রতিবাদ করেন তারা। শোভাযাত্রার ব্যানারে লেখা হয়, ‘জন্মগন্ধ বুকে লইয়া নিঃশ্বাসে খুঁজি তোমার নাম।