Hathazari Sangbad
হাটহাজারীবৃহস্পতিবার , ৩ নভেম্বর ২০২২

ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়েও ‘১৮৫’ রানের উড়ন্ত সংগ্রহ পাকিস্তানের

হাটহাজারী সংবাদ ডেস্ক
নভেম্বর ৩, ২০২২ ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে হারলেই বাদ এমন অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। এমন ম্যাচেই কিনা টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তান শুরুতেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। সেখান থেকে ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খানের ফিফটিতে উড়ন্ত সংগ্রহ পেয়েছে দলটি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে হারলেই বাদ। এমন অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান। এমন ম্যাচেই কিনা টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তান শুরুতেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। সেখান থেকে ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খানের ফিফটিতে উড়ন্ত সংগ্রহ পেয়েছে দলটি।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে দলটি। আজই (৩ নভেম্বর) সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১৮৬ রান।

এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ইনফর্ম মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় পাকিস্তান। ওয়েইন পারনেলকে ৪ হাঁকানোর পরই বোল্ড হয়ে ফেরেন রিজওয়ান। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক বাবরের সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ হারিস।

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে সুযোগ পেয়ে ঝোড়ো সূচনা এনে দেন হারিস। ১১ বলে ২টি চার ও ৩টি ছয়ে ২৮ রান করেন হারিস। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে দলটি। এক পর্যায়ে ৪৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। অধিনায়ক বাবর ১৫ বলে করেন ৬ রান।

দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও ইফতিখার। দুইজনে গড়েন ৫২ রানের জুটি। ২৮ রান করে নওয়াজ রান আউটের শিকার হলে ভাঙে জুটিটি।

১৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান করা পাকিস্তান সর্বসাকুল্যে দেড় শ’র কোটা ছুঁতে পারবে বলেই মনে হচ্ছিল। তবে শাদাব খান দৃশ্যপটে আসতেই সব বদলে যায়। ইফতিখারের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রোটিয়া বোলারদের ওপর রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

দুইজনে ৫ ওভার ৫ বলের মধ্যে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তোলেন ৮২ রান। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন শাদাব। মাত্র ২২ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছয়ে ফিফটি হাঁকিয়ে ৫২ রান করে শাদাব ফিরলে ভাঙে জুটিটি।

অপরপ্রান্তে ফিফটি হাঁকান ইফতিখারও। ৩৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ৫১ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে আনরিখ নরকিয়ে ৪১ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও অন্য চার বোলার নেন ১টি করে উইকেট।