Hathazari Sangbad
হাটহাজারীসোমবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গুরু পাপে লঘু দণ্ডের কারণেই সাংবাদিক নির্যাতন বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ ৮:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আধিপত্য এবং অরাজকতা ক্রমাগতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগেও অনেকগুলো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েও আমরা তা পাইনি। ছাত্রলীগের গুরু পাপে লঘু দণ্ডের কারণেই সাংবাদিক নির্যাতনের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাড়ছে।

চবিতে দৈনিক প্রথম আলো’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সাংবাদিক মোশাররফ শাহের ওপর ছাত্রলীগের অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন চবি সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সভাপতি মাহবুব এ রহমান।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চবিসাসের সদস্য এবং কর্মরত সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

চবিসাসের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আজহারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি রুমান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু, সদস্য নাজমুল হুদা এবং মো. জিল্লুর রহমান।

চবিসাসের সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের কাছে ইজারা দিয়েছে। এর আগেও একাধিক সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় আমরা কোনও সুষ্ঠু বিচার পাইনি। বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তির জন্য দায়ী।

তিনি আরও বলেন, যেখানে একজন সাংবাদিকের এ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তাই করা যায় না। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আগামীতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবো আমরা।

চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, মানববন্ধন থেকে আমরা দাবি জানাচ্ছি, যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় তিনি দোষীদের ছাত্রলীগ থেকেও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে।

এর আগে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে মোশাররফ শাহ এর ওপর ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগের অনুসারী বর্বরোচিত হামলা চালায়। এসময় তারা মোশাররফকে প্রথমে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। পরে তাকে জেরা করে শহীদ আব্দুর রব হলের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকজন তার মাথায় এবং মুখে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি দেন ও হাতে আঘাত করেন। এ সময় তার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেন তারা। এছাড়া মারধরের সময় সাংবাদিককে পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নিয়ে আর কোনও প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকিও দেওয়া হয়।