Hathazari Sangbad
হাটহাজারীবৃহস্পতিবার , ৪ মে ২০২৩

এবার ‘নেশাগ্রস্ত’ নোবেলকে তালাক দিলেন স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
মে ৪, ২০২৩ ৭:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দেশের বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে তালাক দিয়েছেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন সালসাবিল। এতদিন তালাক ঝুলিয়ে রাখলেও সাম্প্রতিক এক ঘটনার প্রেক্ষিতে নোবেলের কাছে মাদক ছাড়ার ব্যাপারে তিনি শেষবারের মতো জানতে চান। কিন্তু নোবেল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি মাদক ছাড়বেন না। তাই নোবেলকেই ছেড়ে দিলেন তার স্ত্রী।
 
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে সালসাবিল লিখেছেন, ‘আমি হয়তোবা আগে ক্লিয়ার করিনি ব্যাপারটা, যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম, কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয়, সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল’, এরপর আমি পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।’
 
নোবলেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সালসাবিল লিখেছেন, ‘আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী।’
 
নোবেলের আশেপাশে যাদের দেখা যায় তারা মাদক ব্যবসায়ী বলেও উল্লেখ করেছেন সালসাবিল। লিখেছেন, ‘আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশেপাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন। তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও রয়েছে। দরকার হলে নাম বলবেন বলে জানিয়েছেন পোস্টে।
 
বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই , আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত।’
 
মাদক সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করে সালসাবিল লিখেছেন, ‘মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।’
 
এদিকে, সালসাবিল গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তালাকের চিঠি আগেই দিয়েছিলাম। তালাক কার্যকর হতে তিন মাস সময় লাগে। কিন্তু চাইলে সেটাকে স্থগিত করা যায়। আমি নোবেলের পরিবর্তন আশা করে সেটাকে স্থগিত রেখেছিলাম। আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) সেটা কার্যকর করেছি।’
 
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর সালসাবিলকে বিয়ে করেন নোবেল। গুঞ্জন আছে, এটি নোবেলের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে রিমি নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন তিনি। সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি। রিমিই ডিভোর্স দিয়েছিলেন নোবেলকে। এরপর এক আত্নীয়ের সঙ্গেও সংসার করেন নোবেল। সেই সম্পর্কেও বিচ্ছেদ ঘটে। এবার সালসাবিলও তাকে ছেড়ে দিলেন।