দেশীয় ও অন্যান্য ফলের সঙ্গে পরিচিতি, ফলের গুণাবলি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া ও প্রতিদিন ফল খেতে উৎসাহিত করতে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ ব্যানারে বাংলাদেশ ফ্রুট ফেস্ট আয়োজন করেছে আমিরাত প্রবাসীরা। এতে সহযোগিতা করেছে ইয়াকুব সুনিক ফাউন্ডেশন।
শনিবার দেশটির আজমান প্রদেশের একটি ফার্ম হাউসে এমন আয়োজনে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন বাংলাদেশিরা। পরিণত হয় মিলনমেলায়। সবুজ আর হলুদের মিশ্রণে যেন বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন শত শত কন্যা। তারা ভাইয়ের কাছে এসেছেন আবদারের ডালা নিয়ে। শতাধিক পরিবারের সঙ্গে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণ এই উৎসবের মর্যাদা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে প্রবাস প্রজন্মের চোখে আম, কাঁঠাল, তরমুজের মতো দেশি ফলের পরিচিতি আর বাংলায় নাম উচ্চারণ যেন মুগ্ধ হয়ে শুনছিলেন সবাই।
আয়োজকদের অন্যতম সদস্য ইয়াকুব সুনিক বলেন, প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম ফলফলাদির প্রতি খুব বেশি আগ্রহী নয়। তারা ফল খেতে চায় না। আমরা চেষ্টা করেছি, জাতীয় ফল কাঁঠালসহ বাচ্চাদের দেশীয় ফলের সঙ্গে পরিচিত করে তুলতে।
সিআইপি মাহবুব আলম মানিক বলেন, অধিকাংশ প্রবাসী সন্তানদের ইংরেজি মিডিয়ামে পড়ালেখা করান। তারা দেশীয় সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকে। অনেকে ইংরেজিতে ফলের নাম বলতে পারলেও বাংলা অর্থ জানে না। এই আয়োজনের মাধ্যমে বাচ্চারা ফলফলাদির বাংলা নামও জানতে পেরেছে।
আয়োজক নওশের আলী বলেন, দেশ থেকে ফল নিয়ে আসা ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফল আনতে হয়েছে। রাজশাহীর আম ও লিচু, নরসিংদীর সাগর কলা, ময়মনসিংহ থেকে এসেছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। এমন অনেক ফল দেশ থেকে ফ্লাইটে করে আনতে হয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসীরাও উৎসবের জন্য নিজ দায়িত্বে ফল নিয়ে এসেছেন।
শুধু ফলের প্রদর্শনী নয়, উৎসবজুড়ে ছিল ফল খাবার প্রতিযোগিতা। এ ছাড়া ফুড কার্ভিং বা ফল কেটে ফুলের নকশা তৈরি, পুরুষদের রান্না প্রতিযোগিতা, বাচ্চাদের বাংলায় ফলের নাম লেখার প্রতিযোগিতা আয়োজনে অন্য রকম মাত্রা যোগ করে। সন্ধ্যায় শুরু হওয়া আয়োজন শেষ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। বাংলার জারি গান, কবিতা আবৃত্তি. আধুনিক ও দেশাত্মবোধক গানের মূর্ছনায় কিছুটা সময় নিজ দেশের অনুভূতিতে হারান এসব প্রবাসী।