চলতি বছর হজের নিবন্ধনে ঢাকার পর শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রাম। আর সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছে বান্দরবান থেকে। পার্বত্য এ জেলা থেকে মাত্র দুজন হজের নিবন্ধন করেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জেলাভিত্তিক হজযাত্রীর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ৩৯ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৭ জন হজে যেতে পারবেন। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন।
বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার জন্য সৌদির সঙ্গে চুক্তি ছিল। কিন্তু ৯ দফা সময় বাড়িয়েও নির্ধারিত হজ কোটা পূরণ না হওয়ায় ৫ হাজার কোটা ফেরত যাচ্ছে।
এবার হজযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে যাবেন ২ হাজার ৭১৫ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ জন এবং বেসরকারিভাবে থাকবেন ২ হাজার ৪৮৭ জন। হজ যাত্রী ও গাইডসহ হয়েছে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ২০১ জন। সে হিসেবে এখনও কোটায় ফাঁকা থাকছে ৪ হাজার ৯৯৭ জন। এই ফাঁকা কোটা সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুও করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ বছর যে ১০টি জেলা থেকে হজের জন্য সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন হয়েছে সে জেলাগুলো হলো- ঢাকা (৫৫ হাজার ৯ জন), চট্টগ্রাম (১০ হাজার ৬২ জন), বগুড়া (৩ হাজার ৬৪২ জন), কুমিল্লা (৩ হাজার ১৪৯ জন),ময়মনসিংহ (২ হাজার ৮৬৬ জন), রংপুর (২ হাজার ৬৫০ জন), রাজশাহী (২ হাজার ৪২৭ জন), সিরাজগঞ্জ (২ হাজার ১৮১ জন), গাজীপুর (২ হাজার ৯৯ জন), নওগাঁ (২ হাজার ৪৮ জন), সিলেট (১ হাজার ৮৪১ জন)।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এতে খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। উভয় প্যাকেজের সঙ্গে যুক্ত হবে কোরবানির খরচ। যদিও পরে সরকারি এবং বেসরকারি দুই প্যাকেজেই ১১ হাজার টাকা করে কমানো হয়।
এদিকে আগামী ২১ মে বাংলাদেশ থেকে সৌদিগামী হজ ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ৪টায় চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হতে পারে।