রাত ১১ টার দিকে কাজ থেকে বাসায় ফিরে দেখতে পান স্ত্রী মোবাইলে ইন্টারনেট চালাচ্ছে। এ সময় তিনি স্ত্রীর কাছে জানতে চান ইন্টারনেট প্যাকেজ কে কিনে দিয়েছে। জবাবে স্ত্রী জানান তার এক দুঃসম্পর্কের ভাইয়ের কথা। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে অভিমান করে স্ত্রী পাশের অন্য একটি ঘরে চলে যায়। আধাঘণ্টা পর ফিরে এসে দেখতে পান স্বামীর দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) শবে বরাতের রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়ার কাজলীপাড়া এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. মিজান (৩২), পিতার নাম হোসেন মৃধা। গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার গাবতলী গ্রামে। সীতাকুণ্ডের একটি লোহার ডিপুতে শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক নাসির উদ্দিন বলেন, মূলত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহ নিয়ে বাকবিতণ্ডার কারণে এ আত্মহত্যা ঘটনা ঘটেছে বলে নিহতের স্ত্রী ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই কর্মকর্তা আরো জানান, নিহত মিজানের গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। গত চার মাস পূর্বে সীতাকুণ্ডে আরেকটি বিয়ে করে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রীরও আগের সংসারে একটি মেয়ে রয়েছে।