স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপি বিভিন্ন বিভাগে-জেলায় সমাবেশ করেছে। তাদের যা বলার মন খুলে বলেছে। আমরা বাধা দেইনি। এখন তারা ঢাকায় যে স্থানে সমাবেশ করতে চাইছে, সেখানে বড় জমায়েত করার সুযোগ নেই। তাই বিকল্প চিন্তা করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকায় ২৫ লাখ লোক জমায়েতের বার্তা দিয়েছিল বিএনপি। তারা প্রথম সোহরাওয়ার্দী, মানিক মিয়া এভিনিউ ও নয়াপল্টন চেয়েছিল। বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দীতে সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে সম্মেলন এগিয়ে আনতে বলেন। সে অনুযায়ী ছাত্রলীগ সম্মেলন এগিয়েও আনে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আহতদের দেখে এসে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বিএনপিকর্মীরা পুলিশের ওপর মারমুখী ছিল। তারা ঢিল ও ইটপাটকেল ছুড়েছিল। সেটি মোকাবিলা করতে গিয়ে আহত হন পুলিশ সদস্যরা। ৪৯ জন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে এসেছিলেন। অস্ত্র, গজারি লাঠি দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে আহত করে বিএনপি।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় বলে যাই, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা। কিন্তু ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা করলে তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুপচাপ থাকতে পারে না। তারা শান্তিপূর্ণভাবে কোনো সমাবেশ করলে এখানে কোনো বাধা নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মিরপুরের কালশীতে বিকল্প স্থান হিসেবে বলেছি। কোনোক্রমেই রাস্তাঘাটে অরাজক পরিবেশ হোক, তা চাই না। পরিস্থিতি নাজুক হয়েছে, এটা মনে করি না। সব সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এসময় একগুঁয়েমি ছেড়ে বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এমনটাই আশা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, তারা সোহরাওয়ার্দী কিংবা কালশীতে সমাবেশ করুক। কিংবা অন্য কোনো বিকল্প থাকলে সেটা পুলিশ কমিশনারকে বলুক। তাদের পুরোপুরি সহযোগিতা করা হবে।