Hathazari Sangbad
হাটহাজারীমঙ্গলবার , ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভর্তি পরীক্ষার আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার আহবান চবি শিক্ষক সমিতির

অনলাইন ডেস্ক:
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য, শিক্ষক এবং একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়টিকে আইনের চরম লঙ্ঘন বলে জাতীয় সংসদে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।

তবে অভিযোগটি পুরোপুরি সঠিক নয় দাবি করেছেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এ অভিযোগের কারণে টাকা ভাগাভাগির দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের ওপরেও এসে পড়েছে।

অথচ এসবের সঙ্গে শুধুমাত্র প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাই জড়িত থাকতে পারে৷ কেননা সাধারণ শিক্ষকরা আয়-ব্যয়ের হিসাবও জানেন না, ভাগবাটোয়ারার হিসেব তো অনেক দূরের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, কর্তৃপক্ষ বলছে ভর্তি পরীক্ষার যে আয়, এরচেয়ে বেশি ব্যয় হয়। আমরা বলেছি যদি ঘাটতি থাকে, তাহলে প্রয়োজনে আমরা হল পরিদর্শনের যে সম্মানি দেওয়া সেটা আমরা নিবো না, কিন্তু আয়-ব্যয়ের হিসাবটা যেই সভায় আপনারা নির্ধারণ করেন, সেখানে শিক্ষক সমিতির একজন সদস্যকে রাখুন। তাহলে শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা বাকিদের কাছে সঠিক তথ্যটা পৌঁছে দিবো। কিন্তু তারা এতে রাজি হননি।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, উপাচার্য নিজের পরিদর্শন ভাতা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছেন, অথচ সাধারণ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে মাত্র ৫ শতাংশ পরিদর্শন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় আয় হয়েছে প্রায় ২১ থেকে ২৩ কোটি টাকা। সেখানে আমরা হিসাব করে দেখলাম, খুব বেশি হলে এখানে ৭-৮ কোটি টাকার বেশি খরচ হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাহলে এ অর্থ কোথায় যাচ্ছে? এ টাকা কোন খাতে ব্যয় করছেন, সেটা যদি সবার সামনে তুলে না ধরেন, তাহলে শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম নগরে চারুকলা ইন্সটিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে একটি ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন উপ-গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষের জন্য উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান শিক্ষক সমিতির আন্দোলনকে দায়ী করার প্রতিবাদ জানায় শিক্ষক সমিতি।

এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকদের সম্মানী নির্ধারণ ও আয়-ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করার দাবি জানানো হয়।