মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে উপাচার্য ভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত হয়ে সকাল ৬টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যাত্রা। সকাল ১০টা থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘বাধন’-এর উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছায়ানটের যৌথ উদ্যোগে সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের ব্যবস্থাপনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহান ভাষা আন্দোলন এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র, তথ্যচিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শিত হবে। এছাড়া, হল প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাস সেজেছে বর্ণিল সাজে। বিশেষ এই দিনটি ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক, উপাচার্য ভবন, কার্জন হল, কলা ভবন ও ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), প্রশাসনিক ভবনসহ কয়েকটি ভবন লাল, সবুজ, নীল রঙের বাতির আলোয় সাজানো হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। এই দিনটিকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিশেষভাবে ও শ্রদ্ধার সাথে পালন করি। এ উপলক্ষে নানান কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে।