পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন ও খলিফায়ে রাসূল(দ.) হযরত গাউছুল আজম (রাদি.) স্মরণে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১০০নং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে ‘কুরআন সুন্নাহর প্রতিফলনেই এলমে মারেফতের সৌন্দয’ শীর্ষক এক এশায়াত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০ টা হতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার অডিটরিয়ামে এ এশায়াত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে সেমিনারে উদ্বোধক ছিলেন চবি জাদুঘরের পরিচালক ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া।
সেমিনারে প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হযরতুলহাজ্ব আল্লামা হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন, চবি গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জালাল আহাম্মদ। প্রবন্ধ পাঠ করেন মোহাম্মদ নাইমুল ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চবি ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান জালাল,চবি অফিসার সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ রশিদুল হায়দার জাভেদ,চবি অফিসার সমিতির সেক্রেটারি মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী,চবি অফিসার সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু জাফর ইকবাল,চবি রেজিষ্ট্রার অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আশরাফুল মাওলা,চবি গ্রন্থাগারের ডেপুটি লাইব্রেরীয়ান সাইফুল ইসলাম সাগর,চবি গ্রন্থাগার দপ্তর সহকারী রেজিস্ট্রার আলী আমান, মুহাম্মদ আবুল মনসুর, মুহাম্মদ সোহরাব হোসাইন, মুহাম্মদ খোরশেদুল আলম প্রমূখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন,দুনিয়া হলো আখিরাতের সম্পদ অর্জন করার সর্বোত্তম স্থান। আল্লাহ ও রাসুল (দ.) এঁর নির্দেশ মতো জীবন যাপনের মাধ্যমে পরকালীন জীবনে সফলতা অর্জন করা যায়। বর্তমান যুব সমাজের মাঝে চলমান অবক্ষয় রোধে প্রয়োজন রাসুলুল্লাহ (দ.) এঁর আদর্শের অনুসরণ এবং অনুকরণ। যার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটেছে খলিফায়ে রাসূল(দ.) হযরত গাউছুল আজম (রাদি.) এঁর তরিক্বতে। যদ্দরুণ এ দরবারে যুবকদের সংখ্যাধিক্য লক্ষ্য করা যায়। এই তরিক্বতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য তাওয়াজ্জুর গ্রহনের মাধ্যমে মানুষ ইনসানে কামেলে পরিণত হয়। খলিফায়ে রাসূল(দ.) হযরত গাউছুল আজম (রাদি.) এঁর তরিক্বত হলো আল্লাহ প্রাপ্তির সহজ পথ, ইহকাল ও পরকালে মহাসাফল্য লাভের উত্তম পাথেয়। বর্তমানে খলিফায়ে রাসূল(দ.) হযরত গাউছুল আজম (রাদি.) এঁর একমাত্র প্রতিনিধি মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী কুরআন সুন্নাহসন্মত উপায়ে হেদায়তের পথে আহবান করে যাচ্ছেন।
পরিশেষে দেশ-জাতির উন্নতি- অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মিলাদ-কিয়াম শেষে মোনাজাত করা হয়।