সাধারণত চৈত্রের শেষ কিংবা গ্রীষ্মের শুরুতে বাজারে দেখা মেলে কাঁচা আমের। তবে এবার মাঘের শুরু থেকেই কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম। অসময়ের এই ফল বিক্রিও হচ্ছে বেশ চড়া দামে, প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১১টায় দেখা যায়, সুগন্ধা পয়েন্টে ঝুড়ি নিয়ে কাঁচা আম বলে হেঁটে যাচ্ছেন আম বিক্রেতা। তখন কয়েকজন পর্যটক দাম জিজ্ঞেস করতেই আম বিক্রেতা বললেন, বড়টা এক পিস ৮০ টাকা আর ছোট এক পিস ৪০ টাকা এবং কেজি ৫০০ টাকা। দাম শুনেই অবাক পর্যটকরা। কিছুক্ষণ দর কষাকষির পর বড় এক পিস আম ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। যার ওজন ছিল ১০০ গ্রাম।
জানা যায়, কক্সবাজারে দেশীয় আমের এখনো দেখা মেলেনি। তবে মিয়ানমারের আম এসে হাজির টেকনাফ বাজারে। যা কিনে কক্সবাজার সৈকতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছে বিক্রি করছেন হকাররা।
সমুদ্রসৈকতে আম বিক্রি করা করিম বলেন, আমগুলো অনেক দূর থেকে এনেছি। প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকায় কিনেছি। তার মধ্যে আমগুলো আনতে আলাদা আরও খরচ হয়েছে। তাই প্রতি কেজি ৫০০ টাকা বিক্রি করছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব আম বিক্রি হয়ে গেছে। বড় আম প্রতি পিস বিক্রি করেছি ৭০ টাকায়, আর ছোট আম প্রতি পিস ৪০ টাকায়। মূলত কেনা দাম বেশি হওয়ায় অনেকটা বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আগত সাকের নামে এক পর্যটক বলেন, দাম চড়া হলেও খেয়েছি। এখন তো কোথাও আম পাওয়া যাচ্ছে না। যেকোনো ফল বাজারে নতুন এলে একটু দাম বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।
মরিয়ম নামে আরেক পর্যটক বলেন, ‘সৈকতে আম দেখে লোভ সামলাতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে আমওয়ালা মামাকে বুঝিয়ে কেজি ৪০০ টাকা করে ২ কেজি নিয়েছি। দাম বেশি হলেও কষ্ট নেই।’
গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক জিকু বলেন, সৈকতের বালিয়াড়িতে আম দেখে বউ আবদার করেছে। কিন্তু আমের দাম অনেক চড়া। ওজনে ১০০ গ্রামের চেয়েও কম এক পিস আম কিনতে হলো ৭০ টাকায়। কিন্তু করার কিছুই নেই। প্রিয়জনের ইচ্ছে হয়েছে কাঁচা আম খাবে।