কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর দ্বারপ্রান্তে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে উন্মাদনা। বাংলাদেশ ফুটবল দল অংশ নিতে না পারলেও বরাবরের মতোই একটি বাড়তি উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে। দেশজুড়ে চলছে নিজের পছন্দের দলের পতাকা ওড়ানোর প্রতিযোগিতা।
পিছিয়ে নেই ময়মনসিংহের সমর্থকরাও। এরই মাঝে ময়মনসিংহের নান্দাইলে তিন হাজার ফুট লম্বা পতাকা টানিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
জানা যায়, রবিবার (১৩ নভেম্বর) থেকে বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সাথে সংযুক্ত আঞ্চলিক সড়ক তাড়াইল রোডের নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বিশাল এক পতাকা টানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা অটোরিকশা ব্যবসায়ী সমিতি উদ্যোগে আল আমিন, আশিক ভূঁইয়া, এমদাদুল হক বাচন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ ও ফাহিম ভূঁইয়া পতাকা তৈরি করেছেন। শুধু পতাকা টানানোই নয়, ওই সমিতির উদ্যোগে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য প্রজেক্টর, পর্দা ও আকাশ ডিটিএইচ কিনেছেন, যাতে নান্দাইলবাসী বিশ্বকাপের সবকটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারেন।
উদ্যোক্তরা জানান, নান্দাইল রোড বাজারের দরজি আব্দুল মতিনের দোকানে ছয় দিনে ১৫০০ গজ কাপড় দিয়ে তিন হাজার ফুট দৈর্ঘ্যের আর্জেন্টিনার পতাকা তৈরি করা হয়। সব মিলিয়ে পতাকা তৈরিতে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
পতাকা দেখতে আসা মোশারফ হোসেন রিয়াদ নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, ‘আমার জানামতে এত বড় পতাকা নান্দাইলে আর কেউ এখনো তৈরি করেননি। বিশাল পতাকা টানানো হয়েছে শুনেই দেখতে এলাম। এত বড় পতাকা দেখে ভালো লাগছে। ’
পতাকা সেলাই করা কারিগর আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমার এবং আমার স্ত্রীর ছয় দিন সময় লেগেছে পুরো পতাকা সেলাই করতে। আমার জীবনে এত বড় পতাকা কখনো সেলাই করা হয়নি। আর্জেন্টিনা দলকে ভালোবাসি বিধায় আগ্রহ নিয়ে পতাকাটা সেলাই করেছি। পারিশ্রমিক যা দেয়, তাই নেব। এটা নিয়ে কোনো চাহিদা নাই। ’
উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশিক ভূঁইয়া বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনা দলকে সমর্থন করি। ফেসবুকে ও টিভিতে অনেক বড় বড় পতাকা দেখেছি। গত বিশ্বকাপ থেকে আমাদেরও পরিকল্পনা ছিল বিশাল একটি পতাকা তৈরি করব। আর্জেন্টিনা দলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থেকেই পতাকা তৈরি করা। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশ নিলে বাংলাদেশকে সমর্থন করতাম। আমরা আশাবাদী, আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপ নেবে। ’